যুক্তরাষ্ট্র ও চীন-কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উন্নতি

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন-কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উন্নতি

কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত বছর দেশ দুটির আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৯০ বিলিয়ন ডলার বা ৬৯ হাজার কোটি ডলারে। খবর বিবিসির
গত বছর খেলনা, মোবাইল ফোনসহ চীন থেকে ৫৩ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীন আমদানি করেছে ১৫ হাজার ৩৮০ কোটি ডলারের পণ্য।

চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে সন্দেহভাজন চীনা নজরদারি বেলুন শনাক্ত করা নিয়ে নতুন করে উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, চীনা এই গোয়েন্দা বেলুন যুক্তরাষ্ট্রের ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল’ সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনার ওপর দিয়ে উড়ছে। যদিও বেইজিং দাবি করে, বেলুনটি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ছিল না।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন—বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। ২০১৮ সাল থেকে দেশ দুটি বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত। ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেন। তখন চীন সরকারও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক বসায়। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের অধ্যায় শেষ হয়েছে। জো বাইডেন দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের অধিকাংশ ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত বলবৎ রয়ে গেছে।

করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উভয় দেশেই জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। পাঁচ বছর ধরে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। কূটনৈতিক সম্পর্কও শীতল। তারপরও উভয় দেশ এখনো পণ্যের জন্য একে অন্যের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।

Leave a Reply