মার্চে ঢাকায় বিজনেস সামিট, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

মার্চে ঢাকায় বিজনেস সামিট, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আগামী মার্চ মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’। ১১ মার্চ এই সম্মেলন শুরু হয়ে চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত। দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই তাদের ৫০ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আয়োজন করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এতে ৩০টি দেশের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে ঢাকা শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। সম্মেলনটির বিষয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের জানাতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এফবিসিসিআই।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন। সামিটের খবরের পাশাপাশি বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্ভাবনা বিষয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করবে সিএনএন। এতে খ্যাতনামা সাংবাদিক ও উপস্থাপক রিচার্ড কোয়েস্টও অংশ নেবেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সস্তায় শ্রম এখানেই পাওয়া যায়। এখানে পর্যাপ্ত পানি আছে, মাটিও উর্বর। ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিতে যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নীতি-সহায়তা দরকার, তার সবটাই সরকার নিশ্চিত করছে। বিদেশিরা এখানে পণ্য প্রস্তুত করে নিজ দেশ বা অন্য দেশে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিক্রি করতে পারেন। ব্যবসায় মুনাফা অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এখন রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন হচ্ছে। ধীরে ধীরে জ্ঞাননির্ভর অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছি আমরা। বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিংকে এগিয়ে নিতে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে বিদেশি ব্যবসায়ীদের কাছে এ দেশের ইতিবাচক অবস্থান, অর্থনৈতিক সামর্থ্য, বিনিয়োগ প্রতিযোগিতাসহ অংশীদারিত্বের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশে উৎপাদিত সেরা পণ্যগুলোকে সামিটে প্রদর্শন করা হবে।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক বিনিয়োগকারীর উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওই বিনিয়োগকারী হাইতিতে বিনিয়োগের প্রাথমিক চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন পানি নেই, বিচারব্যবস্থাও প্রশ্নবিদ্ধ। পরে তিনি বাংলাদেশকেই বিনিয়োগ ও ব্যবসার জন্য নির্বাচন করেন।

Leave a Reply