ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন
২৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৮০ লাখ কেজি মসুর ডাল কিনছে সরকার। আসন্ন রোজায় সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করা হবে। গতকাল বুধবার কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, আগামী রমজান উপলক্ষে টিসিবির জন্য ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কেনা হচ্ছে। এসব পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় এক কোটি পরিাবরের কাছে বিক্রি করা হবে। এটা আমরা নিয়মিত দিয়েই যাচ্ছি। রমজানে নিত্যপণ্যের সংকট হবে না বলেও আশা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খানও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, প্রায় ১৯৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারির কাছ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম পড়বে ১৭৬ টাকা ৮৮ পয়সা। এর আগে প্রতি লিটার ১৭৭ টাকা দরে সয়াবিন কেনা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রতি কেজি ৯১ টাকা ৬০ পয়সা দরে ৭৩ কোটি ২৮ লাখ টাকায় আট হাজার টন মসুর ডাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের আরবিল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক থেকে এ ডাল কেনা হবে।
এদিকে ফল আমদানির ঋণপত্র খুলতে না পারা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর ফল উৎপাদিত হচ্ছে। এগুলোরও মূল্য পাওয়া দরকার। তবে আমাদের এখন দেখতে হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রায় যেন অতিরিক্ত চাপ না পড়ে। সে জন্য আমদানি কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। সময় ভালো হলেই খুলে দেওয়া হবে।
সভায় ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ শীর্ষক প্রকল্পের অপারেশন সাপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধিজনিত বাড়তি ব্যয়ের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। এতে ব্যয় হবে ৮৮ কোটি টাকা।
এ ছাড়া জিওবির সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের পূর্ত কাজের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৬৮৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ১৫ ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন করেছে কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা।
