বিবিধ খাতের কোম্পানি আমান ফিড লিমিটেড এবং বিমা খাতের কোম্পানি কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আমান ফিড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘ডাবল বি প্লাস’। আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৪’। ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৫২ পয়সা।
বিবিধ খাতের এই কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ১৩ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার ৪০০ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৬৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ এবং বাকি ২৮ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘ডাবল এ প্লাস’। আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-২’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা।
২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির বিমা খাতের এ কোম্পানিটি। অনুমোদিত মূলধন ৬০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভে আছে ৩৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ১৬ লাখ পাঁচ হাজার ৩১১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩২ দশমিক ২৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ৫৮ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
