বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের সংঘর্ষ, নিহত ১

বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের সংঘর্ষ, নিহত ১

বান্দরবানের রুমায় দূর্গামাঞ্চলে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এতে জলপাই রঙের পোষাক পরিহিত এক সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি পাওয়া গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে দূর্গামাঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনাগুলো ঘটেছে। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে জলপাই রঙের পোষাক পরিহিত এক সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম লালথান জুয়াল বম এবং তারবাড়ি আর্তা পাড়ায় বলে জানাগেছে।

নিহত অস্ত্রধারী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাসনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১টি অস্ত্র এবং ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। এদিকে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ সন্ত্রাসীদের নির্যাতন অত্যাচারে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়া থেকে পাড়া প্রধান কার্বারী সাকনাও মারমার নেতৃত্বে শিশুসহ ৪০ জন গ্রামবাসী পালিয়ে রুমা সদরে আশ্রয় নিয়েছে।

পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে পাহাড়ে জুমে উৎপাদিত ফসল আদা-হলুদ এবং বিভিন্ন ফলন তুলতে পারছেনা গ্রামবাসী। পাড়াবাসীদের জিম্মি করে খাদ্য সংগ্রহের কারণে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুয়ালপি পাড়া থেকে পাড়া প্রধান কার্বারী সাকনা অং মারমার নেতৃত্বে শিশুসহ ৪০ জন গ্রামবাসী গ্রাম ছেড়ে রুমা সদরে পালিয়ে এসেছে। তাদের বর্তমানে মারমা এসোসিয়েশনের ক্লাবঘরে আশ্রয় এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলি হয়েছে। এতে ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রধারী এক সন্ত্রাসীর লাশ এবং অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রুমা থানায় মামলা করা হয়েছে। অপরদিকে সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রুমা সদরে এসেছে ৪০ জন পাড়াবাসী। তাদের মারমা এসোসিয়েশনের ক্লাবঘরে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে থাকা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন শিবলী বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের সাথে নিরাপত্তার বাহিনীর গোলাগুলি হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়া থেকে পাড়া প্রধান কার্বারী সাকনাও মারমার নেতৃত্বে শিশুসহ ৪০ জন গ্রামবাসী গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রুমা সদরে আশ্রয় নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Leave a Reply