দেশে ইন্ডাকশন প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত রডের মান ততটা ভালো নয়। কারণ এ প্রক্রিয়ায় কাঁচামাল রিফাইন করা সম্ভব হয় না। ফলে দেশে মানসম্পন্ন রড হয় না। এ শূন্যতা পূরণে জিপিএইচ পাঁচ বছর আগে সাহসী একটি পদক্ষেপ নেয়। যার ফলে এখন দেশের বাজারের মানসম্মত নির্মাণ রড তৈরি হচ্ছে। যা দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্পসহ নির্মাণকাজে ব্যবহƒত হচ্ছে। দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। পাশাপাশি চীনের মতো সমৃদ্ধ দেশেও রপ্তানি হচ্ছে।
বিশ্বসেরা ইস্পাত পণ্য তৈরির প্রতিজ্ঞা নিয়ে জিপিএইচ ইস্পাত নিয়ে এসেছে ক্লিন স্টিল তৈরির সর্বশেষ প্রযুক্তি; কোয়ান্টাম ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস। যা বিশ্বে দ্বিতীয় এবং এশিয়ায় প্রথম। এর সঙ্গে জিপিএইচ ইস্পাত যুক্ত করেছে সেকেন্ডারি রিফাইনিং প্রসেস, হাই স্পিড কাস্টিং মেশিন এবং সেরা প্রযুক্তির উইনলিংক রোলিং, যা জিপিএইচ কোয়ান্টাম রডকে দিয়েছে বিশ্ব মানের পণ্যের তকমা। পিপলস, পেটেন্ট এবং পারফরম্যান্সে তিনটি টেকসই স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে আমাদের ইস্পাত উৎপাদন। পরিবেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে জিপিএইচ এমন এক প্রযুক্তিতে রড উৎপাদন করে যা কিনা বিশ্বব্যাংকসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব পরিবেশ মানদণ্ডে উত্তীর্ণ। দেশীয় ইস্পাত শিল্পকে উত্তরোত্তর প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে এগিয়ে নিতে চায় জিপিএইচ ইস্পাত।
গত বছর থেকে এ পর্যন্ত অতিমারির সময় জিপিএইচ ইস্পাত সম্প্রসারিত প্ল্যান্ট থেকে উন্নত কোয়ালিটির প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন এমএস বিলেটের ৫টি চালান চীনে রপ্তানি করেছে। শুধু কোয়ালিটির কারণে চীনের মতো শীর্ষ ইস্পাত উৎপাদন ও ভোক্তার দেশ আমাদের বিলেট নিয়েছে। যা আমাদের জন্য অনেক গর্বের। একই সঙ্গে দেশের জন্য গর্বের। এ অগ্রযাত্রাকে সুদৃঢ় করার জন্য লৌহ ও লৌহজাত শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কহার যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখা দরকার।
একই অনুষ্ঠানের জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, দেশের মেগা প্রকল্পগুলোয় কোয়ালিটি রডের চাহিদা আছে। পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে মানসম্মত ইস্পাত পণ্যের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু কয়েক বাজার আগে বাজারের মানসম্মত ইস্পাত তৈরি কারখানা ছিল না। পরে একটি কোম্পানি বাজারের আসে। আর বাকিগুলোয় এখন মানসম্পন্ন ইস্পাত পণ্য উৎপাদন হয় না। আমরা বিষয়গুলো আমলে নিয়ে আমাদের সাহসী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে এশিয়ার প্রথম কোয়ান্টম আর্ক ফানের্সের কারখানা স্থাপন করি। এখন দেশবাসী সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ইস্পাত পণ্য ব্যবহার করতে পারছে।